রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে তাবলিক জামাতের দুই গ্রুপের মুসুল্লিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গুরুতর আহতদের আশাশুনি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আশাশুনির বড়দুর্গাপুর জামে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মুসুল্লিরা মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
গত দশ বছর ঐ মসজিদের কোন কমিটি হয়নি। তবে গত ১৮ অক্টোবর উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আনজার আলীর সামনে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং মাহবুবুর রহমান মোড়ল সভাপতি ও রুহুল আমিন সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ২৭ অক্টোবর নতুন কমিটি মসজিদের ইমাম ও আগের কমিটির সভাপতি আয়ুবুর রহমানকে বিগত ২০১০ হতে ২০১৯ সালের বকেয়া হিসেব বুঝে দেওয়ার জন্য লিখিত ভাবে জানান। তারা হিসেব না বুঝে দিয়ে উল্টো মাওলানা সাদ গ্রুপের পক্ষে শাহীন গাজী ও আয়ুবুর রহমান উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে ইউএনও মহোদয় বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় ইউএনও আলিফ রেজা, স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলন, ইউপি সদস্য ও পুলিশ অফিসার সহ স্থানীয় মুসুল্লিদের নিয়ে আজ শুক্রবার বাদজুম্মা মসজিদে বসেন। আলোচনান্তে গত ১৮ তারিখের কমিটির নামের তালিকা ঘোষিত হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং সাদ গ্রুপের মিজানুর রহমানের নের্তৃত্বে মসজিদের ভিতরেই ইউএনও মহোদয়ের সামনে হামলা পাল্টা হামলা শুরু করে। এ সময় আশাশুনি থানার অফিসার ইন-চার্জ আব্দুস সালামের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে মসজিদ এলাকায় শান্তি শৃ্খংলা ফিরিয়ে আনে।
এসময় উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়। আহতরা হলেন মাওলানা জোবায়ের গ্রুপের মোঃ সাইফুল্লাহ মোড়ল (৫০) মোঃ রশিদ মোড়ল (১৯) সাইফুল্লাহ মোড়ল (২৮) আছিয়া খাতুন (২৮) হাবিবুল্লাহ মোড়ল (৫২) এছাড়াও আরো অনেকে। মাওলানা সাদ গ্রুপে আহতরা হলেন লাল্টু গাজী (২৬) মিজানুর রহমান গাজী (৫০) সহ আরো দুইজন।
এব্যাপারে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক রুহুল আমিন জানান নতুন কমিটি গঠনের পর আমরা মিটিংয়ে রেজুলেশন ও চিঠির মাধ্যমে বিগত ২০১০ হতে ২০১৯ সালের হিসেব বুঝে দেওয়ার জন্য তাদের জানাই। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো উপজেলা নির্বাহি অফিসারের সামনে আমাদের উপর হামলা চালায়। এখানে যারা হামলায় অংশ নিয়েছে তার বড় একটি অংশ জামাত শিবিরের লোক। বিষয়টি দুঃখজনক।
এসময় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার আলিফ রেজা সবাইকে শান্ত থাকার আহব্বান করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড় দুর্গাপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। আহত আছিয়া খাতুনের অবস্থা বেশ উদ্বেগ জনক ও থানায় মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ গ্রুপ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
Leave a Reply